রাকিবুল হাসান, মনপুরা প্রতিনিধি: ইলিশ শিকারে নদীতে নামতে আর সইছে না জেলেদের।আগে থেকেই সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে মধ্য রাত থেকে মেঘনা নদীতে নামবে মনপুরায় প্রায়  ৬০ হাজার জেলে। এখন শুধু অপেক্ষা কখন ঘড়ির কাটায় শুক্রবার রাত ১২টায় পৌঁছাবে।

এদিকে, প্রজনন মৌসুমের নির্ধারিত ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষে নদীতে মাছ ধরার সময় হওয়ায় জেলে পরিবারগুলোতে উৎসব এমেজ বিরাজ করছে। মনপুরায় মেঘনা উপকূলীয় এলাকার ঘাটগুলো আবার সরব হয়ে উঠতে শুরু করেছে।

উপজেলা জনতাবাজার, ভূইয়ার হাট,হাজিরহাট,রামনেওয়াজ সরজমিন ঘুরে জেলেদের সাথে কথা হলে তারা জানান,নিষেধাজ্ঞা এই ২২ দিন পরিবার-পরিজন নিয়ে চলতে কষ্ট হলেও এখন কাজে ফেরার সুযোগ পেয়ে খুশি উপকূলীয় এলাকার জেলেরা। এবার মনপুরা সংলগ্ন মেঘনা নদীতে ইলিশের পরিমাণ বাড়বে আশা জেলেদের।

জেলেরা আরো জানান, মাছ শিকার করা ছাড়া তাদের অন্য কোনো কাজ জানা নেই। ২২ দিন নদীতে যেতে পারেননি তারা। এখন নিষেধাজ্ঞা উঠে যাচ্ছে তাই দল বেঁধে আবার নদীতে মাছ শিকারে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। সংসারে অভাব-অনটন প্রকট আকার ধারণ করেছে। তাই রাত থেকেই নদীতে নামতে হবে তাদের। জেলেদের আশা এখন তাদের জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়বে। তবে, অভিযোগের যেনো শেষ নেই তাদের।

মৎস্য অফিস সূত্রে জানাজায়, ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞার কারণে ক্ষতিপূরণ হিসেবে জেলেদের ২৫ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেয়া হয়ছে সরকারের পক্ষ থেকে। নিষেধাজ্ঞার সময়ে সরকারের বরাদ্দকৃত চাল জেলেরা পেয়েছেন। উপজেলায় নিবন্ধীত জেলে রয়েছে ১০হাজার ৫শত।সবায়কে পূর্নবাসন ও ক্ষতিপূরণ এর আওয়তা আনা হয়েছে।
জেলেরা জানান, নিষেধাজ্ঞা থাকায় তারা ২২ দিন মাছ শিকার থেকে বিরত ছিলেন।তবে এখনো মনপুরার অনেক জেলে নিবন্ধিত তালিকা বাহিরে রয়েছে। তাই তারা সরকারের কোন সহযোগিতা আওতা আসেন নি
মনপুরা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা  ভিক্টর বাইন বলেন, মা ইলিশ যাতে নিরাপদে ডিম ছাড়তে পারে সেজন্য (৭ থেকে ২৮ অক্টোবর) পর্যন্ত নদী ও সাগরে ইলিশ ধরা, মজুদ, বাজারজাতকরণ ও পরিবহন নিষিদ্ধ ছিল।

সরকার ঘোষিত ২২ দিনের অভয়াশ্রম কর্মসূচি বাস্তবায়নে উপজেলা টাস্কফোর্স তৎপর ছিল। শুক্রবার মধ্যরাত থেকে ইলিশের প্রজনন মৌসুমের নির্ধারিত সময় শেষ হচ্ছে। জেলেরা ফের নদীতে মাছ ধরতে নামতে পারবেন।
তবে নিষেধাজ্ঞা এই সময় উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ এবং স্থানীয় মৎস্য দপ্তরের উদ্যোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে ৪ জেলেকে ইলিশ শিকারের দায়ের আটক করা হয়। এর মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়ে।
ক্যাপশন- নিষেধাজ্ঞা যেন উপকূলের জেলেদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির দাবি।